Eastern Bank এর Trainee Assistant Officer এর নিয়োগ প্রক্রিয়ার A to Z বিস্তারিত

অন্য ব্যাংকের Trainee Assistant Officer (TAO) আর EBL TAO সেইম না। অন্য ব্যাংকের টা পার্মানেন্ট পোস্ট, EBL এর HR কন্ট্রাকচুয়াল পোস্ট। তাই জব পাওয়াটা তুলনামূলক ইজি। আপনারা দেখেন কিছুদিন পর পর ই EBL এর সার্কুলার হয়।কারন হিউজ এমাউন্ট পিপল এখান থেকে এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে অন্য ব্যাংকে চলে যায়। কারণ ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংকে যারা জব করে তাদের চাহিদা অনেক বেশি থাকে, এই ব্যাংকগুলোর এক্সপেরিয়েন্স থাকলে অন্য যেকোনো ব্যাংকে সহজে যাওয়া যায়। এই জন্যই ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে হিউজ পরিমাণ লোক জব ছেড়ে দিয়ে অন্য ব্যাংকে যায়। অন্য ব্যাংকের তুলনায় ইস্টার্ন ব্যাংকে কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে, অন্য ব্যাংকের তুলনায় ইস্টার্ন ব্যাংকে বিজনেস টার্গেট বেশি থাকে। এই সকল কারণে ইস্টার্ন ব্যাংকের এক্সপেরিয়েন্স অন্য ব্যাংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখে।। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে লোকজন অন্য ব্যাংকে খুব সহজে চলে যায়। ইস্টার্ন ব্যাংকের সকলেরই বছরের প্রথমে এক বছরের একটি টার্গেট দেওয়া থাকে। ৬ মাস পর আপনার রেটিং হবে, তখন আপনার টার্গেট কতটুকু করতে পারছেন সেটার উপর ডিপেন্ড করে রেটিং হয়।জয়েনিং এর দিন থেকে সেলারি শুরু হবে। জুন ২০২৪ থেকে সকল পোস্টের এখন স্যালারি ৩১ হাজার টাকা।

EBL-Trainee Assistant Officer

Eastern Bank ই একমাত্র সবচেয়ে বেশি Trainee Assistant Officer পোস্টে নতুন দের কে নিয়োগ দিয়ে থাকে। ফ্রেশদের কে যে পোস্টে ই নিয়োগ দেওয়া হয় না কেন তাদের গ্রেড থাকে Trainee Assistant Officer (TAO) এই গ্রেড এ বিভিন্ন পোস্ট রয়েছে। মোটকথা যারা ফ্রেশ হিসেবে জয়েন করে তারা সবাই TAO গ্রেড এ জয়েন করে কিন্তু পোস্ট এবং কাজ ভিন্ন ভিন্ন থাকে। নিচে প্রত্যেকটি পোষ্টের ডিটেলস আলোচনা করা হলো।

Trainee Relationship Officer (TRO)

Trainee Relationship Officer (TRO): সবচেয়ে বেশি এই পদে নিয়োগ দিয়ে থাকে, এই পদের সকল এর পোস্টিং ব্রাঞ্চে হয়। সাধারণত প্রত্যেকটা ব্রাঞ্চে তিন/চারজন TRO থাকে। প্রতি দুজনের জন্য একটি করে ডেক্স থাকে এবং একটা PC থাকে,এদেরকে সেলস টিম হিসাবে গণ্য করা হয়, কারণ ব্রাঞ্চের মেক্সিমাম টার্গেট এদেরকে দিয়ে পূরণ করা হয়।

➤এটা সম্পূর্ণ ফিল্ড এর চাকরি। কারন আপনাকে দিনের ম্যাক্সিমাম টাইম ই ফিল্ডে ভিজিট এ থাকতে হবে। এই পোষ্টের সকলের লোন, ক্রেডিট কার্ড, নতুন একাউন্ট এবং ডিপোজিট টার্গেট থাকে। আপনাকে এই সবগুলো প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে হবে।

➤এই পোস্ট থেকে পার্মানেন্ট হওয়া খুবই কঠিন। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে লেখা থাকে এক বছর পর পার্মানেন্ট করা হবে, কিন্তু বাস্তবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আপনাকে ১০০% এর উপরে বিজনেস করতে হবে এবং ম্যানেজারের সকল দিক নির্দেশনা এবং তার কথা মতো সকল কাজ করতে হবে। এইরকমও অনেক কাছে তিন বা চার বছর হয়ে গেছে তারপরও এই পোস্ট থেকে পার্মানেন্ট হয় না। এই পোস্ট থেকে পার্মানেন্ট হলে জেনারেল ব্যাংকিংয়ে দেওয়া হয়, তখন কাস্টমার সার্ভিসের পাশাপাশি বিজনেস করতে হয়।

কাজ: এই পোস্টের সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো লোন দেওয়ার জন্য কাস্টমার খুঁজে বের করা। আপনাকে বিভিন্ন ধরনের লোন দিতে হবে রিটের লোন, হোম লোন, ব্যবসায়িক লোন। মানুষকে কনভেন্স করে লোন দেওয়াই আপনার কাজ। কখনো কখনো লোনের টাকাও কালেকশন করতে হতে পারে। ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার জন্য লোক খুঁজে বের করতে হবে, এবং কাস্টমারের কাছ থেকে ডিপোজিট আনতে হবে।

Collection Executive – Special Asset Management Department

Collection Executive -Special Asset Management (SAM) Department: এই পদের বেশিরভাগ লোকের পোস্টং হয়ে থাকে ঢাকার গুলশান, ZN টাওয়ারে। বিভাগীয় শহরের কিছু কিছু ব্রাঞ্চে একজন বা দুজনের পোস্টিং হয়।এই পোস্ট থেকে খুব সহজে পার্মানেন্ট হওয়া যায়। এই পোষ্টের এক্সপিরেন্স দিয়ে অন্য যেকোনো ব্যাংকে সহজে যাওয়া যায়, কারণ প্রায়ই ব্যাংকে কালেকশন এর জন্য এক্সপিরিয়েন্স লোক খুজে থাকে।

➤এই পদের সকলের আলাদা আলাদা ডেস্ক & PC থাকে। এবং প্রত্যেকের কথা বলার জন্য ব্যাংক থেকে IP দেওয়া হয়।ঢাকায় যাদের পোস্টিং দেয়া হয় তাদের ম্যাক্সিমাম টাইম কাস্টমারের সাথে কথা বলতে হয়।কাস্টমারের সাথে কথা বলে রাজি করে টাকা আদায় করতে হয়। এবং আগে থেকেই কাস্টমারদের কে ফোন দিয়ে EMI ডেটের কথা জানিয়ে দিতে হবে।

কাজ: এই পোস্টের মুল কাজ ডিফল্ট লোন /ক্রেডিট কার্ড এর টাকা রিকভারি করা। সহজ কথা হল কাস্টমারের কাছ থেকে কিস্তির টাকা আদায় করা। অনেক গ্রাহক আছে লোনর টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে বা লোনের টাকা ঠিকমতো দিচ্ছে না, সেই সকল গ্রাহক কে খুঁজে বের করে এবং জোর করে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে হয়। অনেক গ্রাহক আছে এক বছর, দুই বছর বা তারও বেশি টাকা দেয় না, তাদেরকে আইনের মাধ্যমে মামলা করে এবং আইনের সহায়তা নিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে হবে।

Cash Area

Cash Area: তবে অল্প কিছু বিজনেস টার্গেট থাকে, ব্রাঞ্চের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলে খুবই সহজে টার্গেট পূরণ করা যায়। তবে ক্যাশ থেকে এক বছরের মধ্যেই পার্মানেন্ট হওয়া যায়। পার্মানেন্ট হওয়ার পর জেনারেল ব্যাংকিং এ পোস্টিং হয়।

কাজ: ক্যাশ এর কাজ করতে হবে, গ্রাহকের লেনদেনের টাকা রিসিভ করা এবং টাকা প্রদান করাই কাজ। এবং এটিএম এ টাকা লোড এবং আনলোড করতে হয়।

Card Acquisition

Card Acquisition: এই পদের সকলের পোস্টিং হয় ঢাকা SKS Tower, Mohakhali Dhaka এবং Chattagram অন্য সকল জবের তুলনায় এটা একটু খুব চ্যালেঞ্জিং জব। এই পোস্টে শুধুমাত্র আপনার ক্রেডিট কার্ড সেল করতে হয়। আর ক্রেডিট কার্ড সেল করাটা একটু ডিফিকাল্ট। এই পোস্ট থেকেও পার্মানেন্ট হওয়া খুব কঠিন।

কাজ: এটা সম্পূর্ণ ফিল্ড জব, ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার জন্য কাস্টমার খুজে খুজে বের করতে হবে। মোটকথা ক্রেডিট কার্ড সেল করাই হচ্ছে আপনার কাজ।

You can read the following jobs:

Contact Centre

Contact Centre: অন্যান্য ব্যাংকএ কল সেন্টারের নামে পরিচিত। পোস্টিং হয় ঢাকা গুলশান, ZN টাওয়ার এ। এখানে অল্প কিছু বিজনেস টার্গেট থাকবে। টার্গেট পূরণ করতে পারলে দুই এক বছর পর পার্মানেন্ট হতে পারবেন। এই পোস্ট থেকে সহজে পার্মানেন্ট হওয়া যায, পার্মানেন্ট হওয়ার পর পোস্টিং ব্রাঞ্চে জেনারেল ব্যাংকিংয়ে হয়। কল সেন্টারে জবের এক্সপিরিয়েন্স থাকলে বাংলাদেশের যে কোন প্রতিষ্ঠানে আপনি কল সেন্টারের জব পাবেন।

কাজ: গ্রাহকের কল রিসিভ করা। গ্রাহক সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং সমস্যা সমাধান করা। এটা সম্পূর্ণ ডেস্ক জব। এখানে রোস্টার ডিউটি প্রতিদিন ৮ ঘন্টা করে ডিউটি, নাইট শিফটে মেয়েদের ডিউটি থাকে না, সপ্তাহে দুইদিন করে ছুটি।

Bank Representative (Agent Banking Department)

Bank Representative (Agent Banking Department): বাংলাদেশের যেকোনো এজেন্টে আপনার পোস্টিং হবে।একমাত্র ইস্টার্ন ব্যাংক ই প্রত্যেকটা এজেন্টে একজন করে ব্যাংক প্রতিনিধি রাখে। এটা খুব একটা চ্যালেঞ্জিং জব সবচেয়ে বেশি এই পোস্ট থেকেই চাকরি ছেড়ে চলে যায়। তবে এই পোস্টে হিউজ পরিমাণ টার্গেট থাকে, খুব কঠিন পরিশ্রম না করলে টার্গেট ফিলাপ করা যায় না। পার্মানেন্ট হতে দুই তিন বছর লাগতে পারে। পার্মানেন্ট হওয়ার পর আপনার পোস্টিং এজেন্ট ও থাকতে পারে অথবা ব্রাঞ্চে হতে পারে অথবা এজেন্ট ব্যাংকিং এর হেড অফিস আলাউদ্দিন টাওয়ার গুলশানেও হতে পারে।

কাজ: আপনার মূল কাজ হলো এজেন্ট মনিটরিং করা। এজেন্ট স্টাফ কে গাইডলাইন করা। এজেন্টের সকল কাজ আপনি ব্রাঞ্চে নিয়ে ব্রাঞ্চের মাধ্যমে করতে হবে। ব্যাপারটা এরকম হয় ৩ দিন এজেন্টে থাকতে হয় আর ২ দিন ব্রাঞ্চে থাকতে হয়। কারণ এজেন্টের অপারেশনের কোন কাজ করতে পারবেন না, সকল কাজ ব্রাঞ্চে নিয়ে এসে করতে হবে।

Trainee Assistant Officer – Job Apply process

সকল জব আমার এই ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজ এবং ফেসবুক গ্রুপে পেয়ে যাবেন । আপনারা সরাসরি সেখান থেকে আবেদন করতে পারবেন

1.If you do not have Tracking Number Click Here.

2.If you have already registered, please Click Here

3.If you are new then register first with all your information.

4.Select you task forum the list below, And You Select Apply For Potion. Then Click Next.

5. Finally You Click Apply Now.

Selection Process & CV Creation

সিলেকশন প্রসেস: প্রথমে শর্টলিস্টেড হওয়াটাই টাফ। সহজে করতে চায় না। কেউ প্রথম বার এপ্লাই তে হয়, কেউ ২০/২৫ বার এপ্লাই করেও হয় না। কি দেখে শর্টলিস্ট করে এটা ব্যাংকের ইন্টারনাল ব্যাপার। এটার ব্যাপারে বলা যায় না। তারপরও আমার ধারনা থেকে বলি:

➤Easter Bank এর ওয়েবসাইটে প্রথমে একটি strong CV তৈরি করবেন। CV যেন মিনিমাম ৯০% কমপ্লিট হয়, সিভিতে আপনার সকল তথ্য নির্ভুলভাবে দিবেন এবং কোন মিথ্যা তথ্য দিবেন না। কারণ ব্যাংক পরবর্তীতে এগুলা ভেরিফাই করে। যাদের পূর্বের চাকরির এক্সপেরিয়েন্স আছে তারা অবশ্যই চাকরি কথা উল্লেখ করবেন, এবং পূর্বের চাকরিতে আপনি কি কি দায়িত্ব পালন করছেন সেগুলো সুন্দরভাবে এখানে উল্লেখ করবেন। আপনার যদি পূর্বের যে কোন জবের এক্সপিরিয়েন্স থাকে তাহলে যারা ফ্রেশ থাকবে তাদের চেয়ে আপনি এগিয়ে থাকবেন।

➤ আর যারা একদম ফ্রেশ তারা অবশ্যই কলেজে বা স্টুডেন্ট লাইফে যে যে কাজগুলো বেশি অভিজ্ঞতা সেগুলো উল্লেখ করবেন, এবং আপনি যদি কোন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত থাকেন সেটা উল্লেখ করতে পারেন। মনে রাখবেন আপনার সিভিতে যত বেশি তত্ত্ব থাকবে আপনি অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন।যদি আপনি সিভি তৈরি করতে না পারেন তাহলে প্রফেশনাল কাউকে দিয়ে একটি ছবি তৈরি করে নিবেন।

➤সিভিতে অবশ্যই দুজন রেফারেন্স দিবেন। চেষ্টা করবেন তারা যেন ব্যাংকের কোন কর্মকর্তা হয় অথবা সরকারি কোন উপরস্থ কর্মকর্তা যেন হয় , আপনারা চাইলে আপনার স্কুল কলেজের টিচারদের কেউ রেফারেন্স দিতে পারেন।

➤আপনার বয়স যেন ৩০ বছরে বেশি না হয় যদিও সার্কুলার এ বয়সের কোন কথা উল্লেখ থাকে না, কিন্তু যদি আপনি ফ্রেশ থাকেন এবং ৩০ বছরে বেশি হয় তাহলে আপনাকে Short List করবে না।

➤ অবশ্যই আপনার Business ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে অথবা ম্যাথমেটিক্স বা ফাইন্যান্স সাবজেক্ট থেকে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট থাকতে হবে।

➤আপনার CGPA 3.00 এর উপরে থাকতে হবে।পাবলিক ইউনিভার্সিটি অথবা ভালো মানের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি কে অগ্রাধিকার বেশি দেয় তবে কিছু কিছু পোস্ট এ National University এর স্টুডেন্টদেরকেও শর্টলিস্টেড করে।

➤শর্ট লিস্টেড করার ক্ষেত্রে আপনার এক্সপেরিয়েন্স এবং ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে।। যদিও ফ্রেশদের কে ই বেশি নেওয়া হয়। Short লিস্টেড হলে ইনিশিয়াল ভাইভা মেসেজ পাবেন।

Trainee Assistant Officer – Initial Interview

1st viva: শর্ট লিস্টেড হওয়ার পর ইনিশিয়াল ইন্টারভিউ এর জন্য আপনি মিনিমাম পাঁচ দিন আগে এসএমএস পাবেন। EBL এর ড্রেস হল সাদা শার্ট, ডার্ক প্যান্ট, ব্ল্যাক মৌজা। তাই শার্ট, প্যান্ট, টাই সহ পোশাকের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। অবশ্যই ব্লেজার পরে যাবেন & জুতার কালার এবং বেল্ট এর কালার অবশ্যই একই থাকতে হবে। দুইজন HR এবং ডিপার্টমেন্টের একজন অথবা দুইজন থাকতে পারে ভাইভতে।

➤introduce yourself: বাংলা অথবা ইংলিশ যেকোনো একটিতে জিজ্ঞেস করতে পারে। নিজের সম্পর্কে & নিজের ফ্যামিলির সম্পর্কে প্রশ্ন করবে।

➤বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর, ব্যাংকের কাজ, অর্থমন্ত্রী, সচিব কে এসব নিয়েই প্রশ্ন করবে।

➤আপনার ইউনিভার্সিটি এবং সাবজেক্ট রিলেট এর প্রশ্ন করবে।

➤ইবিএল সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়ে যাবেন এবং আপনার যদি পূর্বের কোন এক্সপিরিয়েন্স থাকে ওই জব নিয়ে প্রশ্ন করবে।আপনি পূর্বের জব কেন ছেড়ে এখানে আসতে চান,এটার উত্তর সুন্দর করে গুছিয়ে বলবেন

➤আপনি যেই পোস্টে ভাইবা দিবেন ওই পোস্টের কাজ সম্পর্কে অবশ্যই জেনে যাবেন ।ইস্টার্ন ব্যাংক এ কেন আসতে চান এটাও প্রশ্ন করতে পারে।

➤আপনার ড্রেস আপ এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজটা ভালো করে ফলো করবে।ভাইভাতে কোন তথ্য মিথ্যা বলবেন না, আপনার সিভিতে যা যা উল্লেখ আছে শুধু তাই বলবেন। সিভিতে উল্লেখ নাই এমন কোন তথ্য বলবেন না, তাহলে ওইটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন করবে।

প্রথম ইনিশিয়াল ভাইভা বাংলাতেই হবে। আপনার ভাইবা ভালো হলে ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে রিটেনের জন্য এসএমএস পাবেন।

Trainee Assistant Officer – Written Exam

Written Exam : আপনি যদি অন্যান্য ব্যাংকের প্রিপারেশন নেন তাইলে mcq গুলাকে একেবারে ইজি মনে হবে। যেহেতু এই পোস্টটা Contracttual পোস্ট তাই প্রশ্ন অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় খুব সহজ করে সব Mcq পারবেন। ২৫ টা mcq থাকবে।

➤ব্যাংক রিলেটেড সাধারণ জ্ঞানের কিছু প্রশ্ন থাকবে, ৫ টা abbreviation থাকবে। যেমন WWW, LC, ATM, RTDM এই টাইপের।

➤দুইটা টা ফোকাস রাইটিং থাকবে ১০ মার্কের । একটা থাকবে ইংরেজিতে এবং একটা থাকবে বাংলাতে যেমন: Tourism in Bangladesh, Banking as a career, পদ্মা সেতু, বাংলাদেশের উন্নয়ন, ব্যাংকিং এর হিস্টরি এই টাইপের দুইটা ফোকাস রাইটিং থাকবে।

➤জেনারেল গণিত থেকে কয়েকটা সাধারণ এমসিকিউ থাকবে শুধুমাত্র পাটীগণিত থেকে প্রশ্ন আসবে ।

➤বেসিক ইংলিশ গ্রামার থেকে কয়েকটা MCQ থাকবে।

➤বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রশ্ন অবশ্যই English Version এ হবে

আপনার Written যদি ভাল হয় তাহলে ফাইনাল ভাইবার জন্য এসএমএস পাবেন।

Trainee Assistant Officer – Final Viba

ফাইনাল ভাইভা: এখানে হায়ার অথোরিটির কেউ থাকবে। ডিপার্টমেন্টের একজন প্রধান থাকবে। এখানে আপনাকে খুভ একটা প্রশ্ন করবে না জাস্ট আপনার কনফিডেন্স চেক করবে। তারা জানতে চাইবে আপনি জবটা পেলে জবটা কন্টিনিউ করবেন কিনা, আপনি চ্যালেঞ্জ নিতে পারবেন কিনা। যেকোনো জায়গায় পোস্টিং দিলে অথবা আপনার পছন্দের জায়গা পোস্টিং না হলেই জব কন্টিনিউ করবেন কিনা। জবটা আপনার কতটুকু দরকার তারা সেটা চেক করবেন।। সর্বোচ্চ আপনাকে ৫ মিনিট রাখতে পারে। খুব কনফিডেন্স নিয়ে উত্তর দিলে আশা করি আপনি ফাইনাল ভাইভাতে পাশ করে যাবেন।

➤একটা এক্সপিরেন্স শেয়ার করি, একজনকে জিজ্ঞেস করছিল আপনার বাবা কি করে, সে উত্তর দিল আমার বাবা একজন বিজনেসম্যান। কিন্তু সিভিতে লেখা ছিল তার বাবা চাকরিজীবী। যখন তারা দেখল সিভিতে একরকম আর আপনি বলেন আরেক রকম, তখন তারা এটাকে নেগেটিভ ভাবে নেয়।। তখন তাকে এটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন করলো। তখন সে উত্তর দিল স্যার আমার বাবা চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করে, এজন্য আমি ভুলে দুই জায়গায় দুইটা বলে ফেলছি। সুতরাং সাবধান কোন ইনফরমেশন ভুল বলবেন না।

➤ফাইনাল ভাইভাতে যদি আপনি ভাল উত্তর না দিতে পারেন, অথবা তারা যদি আপনাকে এই পোষ্টের জন্য যোগ্য মনে না করে তাহলে আপনাকে রিজেক্ট করে দিবে। অবশ্যই আপনি পাঁচ দিনের মধ্যে রিজেক্ট SMS পেয়ে যাবেন। আর যদি কোন অফার লেটার বা রিজেক্ট এসএমএস না পান তাহলে মনে করবেন আপনি ওয়েটিং লিস্টে আছেন। এরকমও আছে যে ফাইনাল ভাইবা দেওয়ার পর রিজেক্ট এসএমএস পাইনাই কিন্তু তাকে পাঁচ মাস পর অফার লেটারের জন্য এসএমএস দেওয়া হয়েছে।

ফাইনাল ভাইবা ভালো হলে অফার লেটার আনার জন্য এসএমএস দিবে।

Offer Letter Collect & Joining Process

Offer Letter: আনার জন্য মিনিমাম পাঁচ দিন আগে এসএমএস পাবেন। অফার লেটারের দিন আপনাকে একটি বুকলেট দেওয়া হবে যা পরবর্তীতে জয়েনিং এর দিন পূরণ করে নিয়ে যাবেন।

➤তারপর আপনার মেডিকেল চেকআপ করতে হবে, মেডিকলে আপনার সিরিয়াস কিছু ধরা পড়লে আপনি সেখান থেকে বাদ যাবেন। মেডিকেল চেকআপ করার জন্য তাদের নির্বাচিত একটি হসপিটালে আছে শুধুমাত্র ওইখানেই নিজের খরচে করতে হবে। মেডিকেল চেকআপের রিপোর্ট তারা HR এর কাছে পাঠিয়ে দিবে। এছাড়াও পুলিশ ভেরিফিকেশন জন্য ব্যাংকের টাকা জমা দিয়ে ভেরিফিকেশন এর কাগজ জয়নিং এর দিন নিয়ে যাবেন।

Joining: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জয়েনিং এর জন্য এসএমএস দিবে। তবে জয়নিং এর সময় অবশ্যই আপনার অরজিনাল ভোটার আইডি কার্ড এবং সকল অরজিনাল সার্টিফিকেট দেখবে। তারা ভেরিফাই করে সাথে সাথে আপনাকে দিয়ে দিবে। আপনার যদি পূর্বের কোন এক্সপেরিয়েন্স থাকে তাহলে অবশ্যই স্যালারি সার্টিফিকেট এবং ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যাবেন। কোন সার্টিফিকেট যদি অরিজিনাল না থাকে তাহলে তাদের কাছ থেকে সময় নিয়ে নিবেন। সকল কিছুর এক সেট ফটোকপি নিয়ে যাবেন কারণ তারা ফটোকপি রেখে দিবে।যদি আপনি অন্য কোথাও জব করে থাকেন সেখান থেকে রিলিজ লেটার আনতে সময় লাগলে, আপনি আগেই ব্যাংকের কাছ থেকে এক্সটেনশন নিয়ে নিবেন।

➤জয়েনিং এর কিছুদিন পর পাঁচদিনের একটি ফাউন্ডেশন ট্রেনিং হয়. ট্রেনিং ঢাকা হেড অফিস এ হবে এবং সার্টিফিকেট দিবে।ট্রেনিং এর খরচ ব্যাংক আপনাকে পরবর্তীতে বিল করলে দিয়ে দিবে।

Parmanent Process

Parmanent: হতে মিনিমাম ৩/৪ বছর লাগতে পারে আবার ৫ বছরে নাও হতে পারেন। এটা ডিপেন্ড করে সম্পূর্ণ আপনার উপর।

➤পার্মানেন্ট হওয়ার জন্য আপনার বিজনেস টার্গেট অবশ্যই ১০০% এর উপরে করতে হবে.

➤বছরের দুইবার ই লার্নিং পরীক্ষা হয়, সেই পরীক্ষায় মিনিমাম পঞ্চাশের মধ্যে ৪৫ পেতে হবে বছরে দুইবার রেটিং হয় ,আপনার রেটিং মিনিমাম এক থেকে তিন এর ভিতরে হতে হবে।

➤পার্মানেন্ট করার জন্য বছরে ১ বার রিটেন পরীক্ষা হয় সেই পরীক্ষা মিনিমাম আপনাকে ১০০ মধ্যে ৬০ পেতে হবে। .

➤রিটেন পরীক্ষায় & E-Larning Exam পাস করলে প্রথমে HR ভাইবা হবে, HR ভাইভাতে পাশ করলে তারপর MD ভাইবা হবে। সকল কিছুতে উত্তীর্ণ হলে আপনি পার্মানেন্ট হবেন।

প্রথম বছর পার্মানেন্ট হতে পারলে আপনাকে জুনিয়র অফিসার অফার করা হবে। এক বছরের বেশি সময় লাগলে আপনাকে এসিস্ট্যান্ট অফিসার দেওয়া হবে।

Last Word

➤লাস্ট কথা: জব ছাড়া খুভ ই ইজি। joining এর সময় কোন বন্ড নাই। তাই এক মাসের বেসিক সেলারি জমা দিয়ে ইন্সট্যান্ট জব ছাড়তে পারবেন।। নাহলে ১ মাস আগে রিজাইনের কথা জানালে কোন টাকা জরিমানা দেওয়া লাগবেনা।

এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার বিন্দু পরিমাণ উপকার হলে আমার কষ্ট সফল হবেআশা করি এতো সুন্দর ভাবে আপনি আর কোথাও পাবেন না।তারপরও যদি কারো কোন কিছু জানার থাকলে তাহলে কমেন্ট করতে পারেন। অথবা আমার ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি জানি আমার এই লেখা অনেকেই কপি করবে, যদি কেউ কপি করে থাকেন তাহলে আমার ওয়েবসাইট অবশ্যই মেনশন করবেন।

কপি রাইট : www.bdalljobs24.com

Leave a Comment